ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত আরও কমেছে
দরপতন অব্যাহত থাকায় গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। এর মাধ্যমে এপ্রিল মাসের প্রতিটি সপ্তাহেই ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত আগের সপ্তাহের তুলনায় কমলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে দুই কার্যদিবসে বড় দরপতন হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ অপর দুটি সূচক কমেছে।
সবক’টি মূল্য সূচকের পতনের প্রভাবে কমেছে ডিএসইর পিই রেশিও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ১৪ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ডিএসইর পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে।
খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।
এছাড়া খাদ্য খাতের ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে এবং আর্থিক খাতের ১৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর ইপি ২০-এর ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০ দশমিক ১৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, পেপার খাতের ২৮ দশমিক ২১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩১ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৫৫৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/আরএস/জেআইএম