ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

টানা দরপতনের মধ্যে বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বাড়লেও পুঁজি হারানোর আতঙ্ক কাটেনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। ফলে গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। মানববন্ধন থেকে পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

দরপতনের প্রতিবাদে গত ৭ এপ্রিল থেকে বিনিয়োগকারীরা টানা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। ২০১০ সালে মহাধসের পর এভাবে দিনের পর দিন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তবে ২০১১ সালের পর সাম্প্রতিক সময়ের মতো এমন দীর্ঘ সময় রাস্তায় নেমে বিনিয়োগকারীদের আর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।

টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলা বিনিয়োগকারীদের এই মানববন্ধন থেকে প্রতিদিন ৬টি দাবি জানানো হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) মার্কেট বন্ধ;

২. ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থানরত কোম্পানিগুলোকে ইস্যু মূল্যে বাইব্যাক (পুনঃক্রয়);

৩. আইপিও এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ;

৪. তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বাধ্যতামূলক;

৫. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা;

৬. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ।

বিনিয়োগকারীদের এমন টানা প্রতিবাদের মধ্যে বাজার পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হওয়ায় এবং কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিনিয়োগকারীরা বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বাঁচান। আপনি ছাড়া আমাদের আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’

বাজারের এই অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন জানিয়ে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের জন্য যে দাবিগুলো আমরা তুলে ধরেছি তার একটাও বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না। বাজারকে শক্তিশালী করতে এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।’

এ সময় বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবারের মধ্যে যদি বাজারের স্বার্থে আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) সামনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। এবারের আন্দোলন বিনিয়োগকারীদের বেঁচে থাকার আন্দোলন।’

এমএএস/এসআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন