বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী কানাডা
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে কানাডা আগ্রহী। এ জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে সুপারিশ করতে হবে।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দেশে সফর করে সরকারের কাছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করলে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য একটি ফোরাম গঠন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের একটি ফোরাম গঠন হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। এতে ব্যবসায়ীদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। কানাডার ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন।
তিনি আরও বলেন, কানাডায় বাংলাদেশের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েই চলছে। গত অর্থবছরে কানাডায় ১হাজার ১১৮.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৯৮.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনোয়েট প্রিফনটেইন বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে বাইরে সে রকম প্রচারণা নেই। কানাডা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা খুশি। বাংলাদেশে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ রয়েছে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে এ দেশ আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কানাডা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি কানাডা শিক্ষা খাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বাণিজ্য আরও বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির প্রচারণা চালাতে হবে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঢাকায় নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জোজেফ ড্রোফেনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম