স্ক্রিপ নেটিংয়ে বিএসইসির সম্মতি
পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে স্ক্রিপ নেটিং চালু এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন অঞ্চলে ব্রোকারেস হাউজের সার্ভিস বুথ চালুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্মতি দিয়েছে।
মঙ্গবার বিকেলে বিএসইসি কার্যালয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকারেস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং পুঁজিবাজার স্টেকহোল্ডার কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এ সম্মতি দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিএসইসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএসইসির কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজতে এ বৈঠকের আহ্বান করে বিএসইসি। তারল্য ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে বলে বৈঠকে উপস্থিত পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা অভিমত দেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তারল্য বাড়াতে স্ক্রিপ নেটিং ও সার্ভিস বুথ চালুর দাবি জানানো হয়।
ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, তা যত দ্রুত সম্ভব করা হবে। বাকি যেগুলো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে স্ক্রিপ নেটিং চালু করা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন অঞ্চলে সার্ভিস বুথ খোলার দাবি জানানো হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান আমাদের এ দাবির প্রতি সম্মতি দিয়েছেন। আমরা আশা করছি শিগগিরই এ স্ক্রিপ নেটিং চালু হবে এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলো সার্ভিস বুথ খোলার অনুমোদন পাবে।
একই বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান বলেন, স্ক্রিপ নেটিং চালুর ক্ষেত্রে বিএসইসি সম্মতি দিয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হলে বাজারে তারল্য বাড়বে। সার্ভিস বুথ খোলার বিষয়ে আমরা যে দাবি জানিয়েছি সে বিষয়েও বিএসইসি পজেটিভ। আমরা আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে বিএসইসি নির্দেশনা জারি করবে।
স্ক্রিপ নেটিং চালু হলে কী হবে
স্ক্রিপ নেটিং চালু হলে একজন বিনিয়োগকারী তার পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তাৎক্ষণিক একই কোম্পানি বা অন্য কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন। একইভাবে একজন বিনিয়োগকারী একটি কোম্পানির শেয়ার কিনে দিনের দিনই তা বিক্রি করে দিতে পারবেন। অর্থাৎ একই কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগকারীরা একদিনে একাধিকবার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।
এমএএস/এমএআর/জেআইএম