বাংলাদেশে সালফিউরিক এসিড প্লান্টে বিনিয়োগে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশে সালফিউরিক এসিড প্লান্ট স্থাপনে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আউটেক সাউথ ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্সে এ প্লান্ট স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি নির্মিত হলে সালফিউরিক এসিডের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দেশীয় উৎপাদন থেকেই জোগান দেয়া সম্ভব হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয় আউটেক সাউথ ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামসুল আরেফীন, প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আউটেক সাউথ ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস অর্মস্টন, ব্যবস্থাপক ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় টিএসপি কমপ্লেক্সে নতুন টিএসপি সার কারখানা স্থাপন, সালফিউরিক এসিড উৎপাদন এবং টিএসপি থেকে বাই প্রোডাক্ট উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী টিএসপি কমপ্লেক্সে নতুন টিএসপি সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।’ টিএসপি এবং সালফিউরিক এসিড উৎপাদনের জন্য একটি সমন্বিত কারিগরি প্রস্তাব দাখিলের জন্য প্রতিনিধি দলকে পরামর্শ দেন তিনি।
প্রস্তাবটি বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে হলে সরকার এ বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক উদ্যোগ নেবে বলেও প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি কারিগরি প্রস্তাবের আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্স সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য প্রতিনিধি দলকে পরামর্শ দেন।
বর্তমানে দেশে টিএসপি সারের চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন। বিসিআইসির আওতাধীন চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্সের একটি ইউনিটে বছরে ১ লাখ টন টিএসপি সার উৎপাদিত হয়। জাতীয় চাহিদার অবশিষ্ট অংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে টিএসটি সার এবং সালফিউরিক এসিড উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগ দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআই/এনডিএস/জেআইএম