ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

লোকসানি ইউনাইটেড এয়ারের অস্বাভাবিক লম্ফঝম্ফ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

মোটা অঙ্কের লোকসানের মধ্যে নিমজ্জিত থাকার পরও জেড গ্রুপের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ার দামে সম্প্রতি অস্বাভাবিক লম্ফঝম্ফ দেখা দিয়েছে। মাত্র তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এজন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে রোববার তথ্যও প্রকাশ করেছে ডিএসই।

ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ২ এপ্রিল নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দাম টানা বেড়েছে। ২৭ মার্চ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ২ এপ্রিল দাঁড়ায় ২ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ২১ শতাংশ।

এই দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই।

শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনাইটেড এয়ার মোটা অঙ্কের লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। কোম্পানিটি ২০১৫ সালের পর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারের পঁচা কোম্পানি বা ‘জেড’ গ্রুপে প্রতিষ্ঠানটির স্থান হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, কোম্পানিটি ব্যবসা পরিচালনা করে ২৮ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার টাকা লোকসান করেছে। এতে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান হয়েছে ৩৪ পয়সা। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত সময়ের ব্যবসার ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর গত দেড় বছরে কোম্পানিটি কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাত্র ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার আছে।

এমএএস/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন