ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বিজিএমইএর ভোটগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৯

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ ভোটের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের (২০১৯-২১) জন্য নেতা নির্বাচিত করবেন পোশাক মালিকরা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিজিএমইএর পুরনো ভবন কারওয়ান বাজারের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজিএমইএ ভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

এদিকে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন হচ্ছে বিজিএমইএতে। ফলে এবার আর সমঝোতার নির্বাচন নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই আসছে নতুন নেতৃত্ব।

ভোট দি‌তে আসা নিজাম উ‌দ্দিন না‌মের এক গা‌র্মেন্টস মা‌লিক ব‌লেন, দীর্ঘদিন প‌র বি‌জিএমইএর নির্বাচন হ‌চ্ছে। ভোট দি‌তে এ‌সে ভালোই লাগ‌ছে। ব্যস্ততার জন্য অ‌নে‌কের স‌ঙ্গে দেখা হয় না, ভোট উপল‌ক্ষে সবার স‌ঙ্গে দেখা হ‌চ্ছে।

তি‌নি ব‌লেন, প্র‌তি‌টি সংগঠ‌নের নির্বাচন হওয়া জরু‌রি। কার‌ণ নির্বাচ‌নের মাধ্য‌মেই যোগ্য নেতৃত্ব তৈ‌রি করা সম্ভব।

বি‌জিএমইএর নির্বাচনী বোর্ডের দা‌য়ি‌ত্বে থাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, ভোট আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটাররা উৎসবের আ‌মে‌জে ভোট প্রদান কর‌ছে কো‌নো সমস্যা হ‌চ্ছে না। আশা করি, সব ঠিক থাক‌লে ভোটগ্রহণ শেষে কম সময়ের মধ্যেই আমরা ফলাফল দিতে পারব।

bgmea

বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার এক হাজার ৯৫৬ জন। তার মধ্যে ঢাকার এক হাজার ৫৯৭ জন। বাকি ৩৫৯ জন চট্টগ্রামের। পরিচালক পদে বিজয়ীরা পরবর্তীতে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।

দুই বছর মেয়াদি এই নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৪৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রার্থী সম্মিলিত পরিষদের ও ফোরামের ২৬ জন, স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল লিডার ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের প্রার্থীরা হলেন- রুবানা হক, এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল।

এছাড়া শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম। এ যৌথ প্যানেলের চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

bgmea

অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন রশিদ, রফিক হাসান, সাইফুল ইসলাম, শওকত হোসেন, খন্দকার ফরিদুল আকবর, জাহাঙ্গীর কবির, জাহিদ হাসান, শরিফুল আলম চৌধুরী, কাজী আবদুস সোবহান, জহিরুল ইসলাম, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, মাহমুদ হোসাইন, হোসেন সাব্বির মাহমুদ, আয়েশা আক্তার, মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ওমর নাজিম হেকমত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করেছিল। এরপর থেকে আর নির্বাচন না হয়ে তিন ধাপে এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর। তখন নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি ২০১৯-২১ সময়ে নির্বাচনের জন্য পরিচালনায় বোর্ড গঠন করা হয়। গত নির্বাচনের মতো এবারও বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। অপর দুই সদস্য হচ্ছেন- এমসিসিআইর সভাপতি নিহাদ কবির ও চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এএসএম নাইম।

এসআই/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন