ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর অব্যাহতি চায় সিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির আয় তিন বছর করমুক্ত রাখা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) কোম্পানিকে বিশেষ কর ছাড় দেয়াসহ আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেট উপলক্ষে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে সিএসই সূত্রে জানা গেছে।

নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয়কে তিন বছর করমুক্ত সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়ে সিএসই বলেছে, কোম্পানিগুলো অনেক বিধিবিধান প্রতিপালন করে তালিকাভুক্ত হয়। কর মুক্তির কারণে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজারে গুণগতমানসম্পন্ন শেয়ারের যোগান বাড়বে, যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

তিন বছর করমুক্ত সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি এসএমই কোম্পানিকে বিশেষ কার ছাড় দেয়ার দাবি জানিয়েছে সিএসই। প্রতিষ্ঠানটি তালিকাভুক্ত হওয়ার তিন বছর পর থেকে এসএমই কোম্পানিগুলোর ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে।

এই প্রস্তাবের পক্ষে সিএসই বলছে, স্বপ্ল মূলধনী কোম্পানির কর্পোরেট কাঠামো দুর্বল হওয়ার কারণে সরকারের তেমন কোনো রাজস্ব আদায় হয় না। পুঁজিবাজারের এসএমই বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হলে অধিকসংখ্যক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হবে এবং এক মানসম্মত কর্পোরেট কাঠামো ও রিপোর্টিংয়ে অভ্যস্ত হবে। এতে সরকারের প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি পরোক্ষ করও বৃদ্ধি পাবে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর সিএসইকে দেয়া ক্রমহ্রাসমান হারে আয়কর সুবিধা এই অর্থবছরে (২০১৮-১৯) শেষ হবে উল্লেখ করে বাজেট প্রস্তাবনায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ অনুযায়ী মোট ইস্যু করা শেয়ারের ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারীর নিকট বিক্রি করতে হবে। সিএসই এখনো আইন অনুযায়ী কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করতে পারেনি। কর সুবিধা দ্রুত কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে সহায়ক হবে এবং ছোট এক্সচেঞ্জ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারে সিএসই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

সিএসইর বাজেট প্রস্তাবনায় অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কার হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা, কারমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা, লিমিটেড কোম্পানি অন্য কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ পেলে তা করমুক্ত রাখা, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত বন্ডের সুদ আয়ের ওপর কর অব্যাহতি, বন্ড লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার, অল্টারনেট ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো কর সুবিধা দেয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ওপর উৎসে কর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা।

এমএএস/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন