ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

খেলাপি কমাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপনে নতুন নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য খেলাপি ঋণ অবলোপনের (রাইট অফ) বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও মামলা ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অবলোপন করতে পারবে। এ ছাড়া তিন বছরের মন্দ মানের খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র থেকে বাদ দিতে অবলোপন করতে পারবে।

এতদিন মামলা ছাড়া সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ অবলোপন করার সুযোগ ছিল। আর মন্দ মানে ঋণ শ্রেণিকৃত হওয়ার পাঁচ বছর পর তা অবলোপন করা হতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে সোমবার (১ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের কর্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বছরের পর বছর মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট) থেকে বাদ দেয়াকে বলা হয় ঋণ অবলোপন (রাইট অফ)। যদিও এ ধরনের ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের খাতায় খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন। তবে আর্থিক প্রতিবেদন পরিষ্কার দেখাতে শতভাগ প্রভিশন রেখে ঋণ অবলোপন করা হয়। ক্ষুদ্র ঋণে মামলার খরচের চেয়ে অনেকাংশে বকেয়া ঋণের পরিমাণ কম হওয়ায় ২০১৩ সালে মামলা না করেই ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ অবলোপনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ অবলোপন করা যাবে না। অবলোপনের পরও প্রতিষ্ঠানের দাবি বহাল থাকবে। আর ঋণের দায় সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আগের মতোই তিনি খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। অবলোপন করা ঋণ পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। তবে পুরো দায় শোধ করে দেয়ার শর্তে গ্রাহক ঋণ পরিশোধের নতুন পরিশোধ সূচি পাবেন।

অবলোপন ঋণ আদায়ের জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে। আর পরিচালনা পর্ষদের কারও ঋণ অবলোপন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া অবলোপনকৃত ঋণের হিসাবের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে রিপোর্ট করতে হবে।

এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ ব্যাংকগুলোর জন্য এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছিল।

এসআই/এসআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন