তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
সব তামাক পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী জোটগুলো।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানায় ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো (উফাত) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (বিএনএনসিপি)।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের নেতৃত্বে বিএনএনসিপি ও উফাতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং এন্ডোক্রাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশীদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মোল্লাহ ওবায়দুল্লাহ বাকী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, টোব্যাকো ফ্রি কিডসের বাংলাদেশে মুখ্য পরামর্শক ড. শরিফুল আলম প্রমুখ।
এ সময় এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গত বছর তামাক পণ্যে কর বাড়ানো হয়েছে। এ বছরও বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
সভায় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞার সমন্বয়কারী মো. হাসান শাহরিয়ার তথ্যপত্রের মাধ্যমে তামাক কর বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অথচ একইসময়ে (২০১৭-১৮) তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, তাদের কারণে গত অর্থবছরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে তামাকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে এনবিআরের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস করতে মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও তা নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি করতে হবে; বিভিন্ন তামাকপণ্য ও ব্রান্ডের মধ্যে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য ব্যবধান কমিয়ে আনার মাধ্যমে তামাক ব্যবহারকারীর ব্রান্ড ও তামাকপণ্য পরিবর্তনের সুযোগ সীমিত করতে হবে; করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করতে তামাকপণ্যের মধ্যে বিদ্যমান বিভাজন (ফিল্টার/নন ফিল্টার বিড়ি, সিগারেটের মূল্যস্তর, জর্দা ও গুলের আলাদা ট্যারিফ ভ্যালু প্রভৃতি) তুলে দিতে হবেইত্যাদি।
পিডি/এনএফ/এমবিআর