ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শতভাগ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে চায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯

সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে শতভাগ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে চায় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নানা বাধা-বিঘ্নের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। ট্যাক্স-জিডিপির অনুপাত এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি র্যাগনারগুডমুন্ডসনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার পরও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলার। বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অবকাঠামো খাতে যেভাবে এগুচ্ছে তা অচিরেই শিল্প বিনিয়োগকে আরও বেশি আকর্ষণ করবে।

মন্ত্রী আইএমএফকে জানান, সরকার চাইছে ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে শতভাগ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে। সরকার আশা করছে উল্লিখিত পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হলে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ১৬ ভাগে নেমে আসবে। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার কারিগরিভাবে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলবে। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে সরকার ব্যয় বাড়াবে, যাতে করে বেসরকারি খাত বেশিমাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্ত্রী ও আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি র্যাগনার গুডমুন্ডসন রাজস্ব খাত সংস্কারে অটোমেশনের বিষয়ে আইএমএফের সাথে এনবিআরের প্রকল্পটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে সরকার। আগামী জুলাইয়ে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ভ্যাট আইনে একাধিক স্তর থাকবে, এক্ষেত্রে সিঙ্গেল রেটের পরিবর্তে সহনীয় মাল্টিপল রেট থাকবে। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না।

এ আইনের আওতায় ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ইএফডি ক্রয় প্রক্রিয়া এনবিআরে চলমান আছে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেতা পণ্য কিনলে মূল্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পরিশোধ করবে; যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভ্যাটের দৈনিক ও মাসিক হিসাব পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশে সামাজিক সূচক উন্নত হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে রাজস্ব ঘাটতি এখনও মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে। বাজেট প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করার মাধ্যমে বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আইএমএফের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর সহযোগিতার অব্যাহত রাখার কথা জানান।

এমইউএইচ/এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন