পতনের মধ্যেই শেয়ারবাজার
গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহেও দেশের শেয়ারবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক কমেছে।
মূল্য সূচকের পতন হলেও এদিন ডিএসইতে দামের দিক থেকে শীর্ষ তালিকায় থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটিরই শেয়ার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাজার মূলধনে বড় ভূমিকা রাখা গ্রামীণফোনসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনের পরও মূল্য সূচকের বড় পতন হয়নি।
তবে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক, ওষুধ, প্রকৌশলসহ সবকটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফলে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০৬টির। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৯১ পয়েন্টে নেমেছে। ফলে চলতি বছরের ১ জানুয়ারির পর বা গত তিন মাসের মধ্যে সূচকটির অবস্থান এখন সর্বনিম্ন।
ডিএসইর অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ছয় পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ দু’টি সূচকও তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে।
মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ চারশ কোটির ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি তিন লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এর পরেই রয়েছে মুন্নু সিরামিক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, কনফিডেন্স সিমেন্ট, সিঙ্গার বাংলাদেশ, জেএমআই সিরিঞ্জ, অগ্রণী ইনস্যুরেন্স এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৪৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৭টির। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/এএইচ/জেআইএম