‘যদি অন্যরা পারে, তবে আপনিও পারবেন’
‘আমি বিশ্বাস করি, যদি অন্যরা কোনো কাজ পারেন, তবে আপনিও তা করতে পারবেন। সুযোগটা অন্যকে কেন দেবেন? সেটি নিজের করে নেন।’
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রোটারি ক্যারিয়ার ফিয়েস্তা- ২০১৯ এ তরুণদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আপনার যাত্রা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তবুও পেছন ফেরা যাবে না। কখনোই নেগেটিভ ভাববেন না। নেগেটিভ মানুষের সঙ্গে মিশবেন না।’
‘সফলতার কারণ হলো ক্ষুধা। যার বড় হওয়ার ক্ষুধা ছিল, তিনি বড় হয়েছেন। সফলতা পেতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
প্রাণ-আরএফএল এর চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষকে সাহায্য করবেন। কিন্তু কাউকে নিজের স্বপ্ন দেবেন না। শেখার কাজটি বন্ধ করবেন না। জীবনের সুযোগগুলোকে কোনোভাবেই নষ্ট করবেন না।’
‘কঠোর পরিশ্রম করুন। সফলতার সংক্ষিপ্ত কোনো পথ নেই। যখনই সাহায্যের প্রয়োজন হবে চাইতে কুণ্ঠিত হবেন না। অবশ্যই অন্যকে সহায়তা করবেন, যখন আপনি সেটি দিতে প্রস্তুত’- যোগ করেন আহসান খান চৌধুরী।
নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তরুণদের তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৮১ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু করেন। শুরুটা ছিল খুবই ছোট। ১৯৯২ সালে আমি বাবার ব্যবসায় যুক্ত হই। সেই অসীম যাত্রার শেষটি আমার জানা নেই। আমরা চাই সবকিছুতেই নম্বর ওয়ান হব। সব সেই মানের করতে পারব, তা নিশ্চিত নয়, তবে আমরা চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, প্রাণ-আরএফএল বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় খাবার, পিভিসি ও প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। দেশের ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে এসব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে সরাসরি কাজ করেন এক লাখের বেশি মানুষ। পরোক্ষ কর্মসংস্থান প্রায় ১৫ লাখ মানুষের। প্রাণের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন এক লাখ কৃষক। এর বাইরে আরও ৪০ হাজার মানুষকে চাকরি দেয়ার চেষ্টা চলছে।’
বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল পৃথিবীর ১৪১ দেশে পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ভারত, গালফ ও আফ্রিকায় আমাদের অবস্থা সবচেয়ে ভালো। ধীরে ধীরে রফতানির সেই পরিধিও বড় হচ্ছে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত কয়েক দফা দিক-নির্দেশনায় আহসান খান চৌধুরী তরুণদের বলেন, ‘জীবনে সফলতা পেতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, নেগেটিভ ভাবা যাবে না। কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে, দূরে তাকাতে হবে তবেই আসবে সাফল্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সবকিছু জানা থাকতে হবে। আপনার যাত্রাটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তবুও পেছন ফেরা যাবে না। বড় মনের পরিচয় দিতে হবে। নিজেকে ব্যবসার মালিক হবার চেষ্টা করতে হবে।’
পরে তিনি তরুণদের মধ্য থেকে ১০ জনের ক্যারিয়ার-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমকেএইচ