ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

তিন হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৯

গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনই দরপতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ সময়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ৫২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ২৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল দশমিক ৯ পয়েন্ট।

এ সময়ে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৪৬টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দাম।

এদিকে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৩০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন কমেছে ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বিগত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭২০ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ২৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এ সময়ে মোট লেনদেনের ৭৮ দশমিক ৫০ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, দশমিক ৯৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ২৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কে অ্যান্ড কিউ’ এর শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ১৮৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৪ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ৮৫ কোটি ২২ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- সিঙ্গার বাংলাদেশ, মুন্নু সিরামিক, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, জেএমআই সিরিঞ্জ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস।

এমএএস/এমএমজেড/পিআর

আরও পড়ুন