তিন মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন
টানা দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকাতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যম তিন মাস পর বা ৫৯ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে বড় দরপতন হলেও এদিন মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখীতায় লেনদেন শুরু হয়। ফলে প্রথম ১০ মিনিট ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হতে থাকে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক খাতের পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও একের পর এক পতনের খাতায় নাম লেখায়। ফলে বড় পতন ঘটে সূচকের।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১২ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বা ৫৮ কার্যদিবস পর বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো। গত ২৩ ডিসেম্বর ডিএসই লেনদেন হয়েছিল ৩৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার।
লেনদেনের এই পতনের দিনে টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি হাতবদল হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপরেই রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, জেএমআই সিরিঞ্জ, ন্যাশনাল পলিমার এবং লিগাসি ফুটওয়্যার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৩৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির শেয়ারের। বিপরীতে কমেছে ১৫০টির, আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম