ভিক্ষা নয়, নকশি বুনেন তৃতীয় লিঙ্গের রোমা
রাজধানীসহ সারাদেশেই এক ধরনের আতঙ্ক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। রাস্তাঘাট, বিনোদনকেন্দ্র, বাস বা গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারা টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন জিনিস দাবি করেন। না দিলে হেনস্তা করতেও ছাড়েন না তারা।
তবে তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম জামালুপরের সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার বেশকিছু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তারা নকশিকাঁথা সেলাই করে উপার্জন করেন। কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নেন না, করেন না ভিক্ষাবৃত্তি।
তাদের একজন রোমা। তার সঙ্গে শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান সপ্তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় সিঁড়ি হস্তশিল্পের স্টলে কথা হয়। রোমার বক্তব্য, ‘ভিক্ষা করি না, উপার্জন করি।’
সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জয়িতা আরিফা ইয়াসমিন ময়ূরীর সঙ্গে ২০১১ সালে তার পরিচয় হয়।
রোমা বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে আমরা ব্যবসা শুরু করি। তারপর থেকেই এখানেই কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেলাই করি। আমার একটা থ্রি-পিস সেলাই করতে একমাস আর একটা নকশিকাঁথা তৈরি করতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) মেলা আমরা চার বছর ধরে করছি।’
পরিবারে বাবা, মা ও ছোট বোন আছে তার। তারা থাকেন জামালপুর সদরেই। নকশিকাঁথার কাজ করায় পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন তিনি।
জামালপুরের সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থায় ৬০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছেন।
এ বিষয়ে সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জয়িতা আরিফা ইয়াসমিন ময়ূরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে আমরা কাজ করছি। সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থায় ৬০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকই কাজ করেন না, অনেকই করেন। আমার লক্ষ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং কাজে ফিরিয়ে আনা।’
পিডি/জেডএ/এমকেএইচ