শেয়ার কেলেঙ্কারি : চিক টেক্সটাইলের রায় সোমবার
চিক টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে। এটি শেয়ারবাজার নিয়ে কারসাজি মামলার বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের তৃতীয় রায়। সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হুমায়ুন কবীর রায়ের জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
চিক টেক্সটাইলের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার আসামিরা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রসূল ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ। এছাড়া মামলায় চিক টেক্সটাইল কোম্পানিকেও আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিরা চিক টেক্সটাইলের শেয়ারের দর বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। ওই সময় বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে ভাল মুনাফা করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রসূল ৮লাখ ২৮হাজার ৪৬৪টি ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ ৮লাখ ৩৫হাজার শেয়ার অপারেট করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭সালের ২৭মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে ১৯৯৭সালের ২এপ্রিল বিএসইসির ওই সময়ের নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খান বাদী হয়ে তদন্তের সকল প্রমাণাদিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে মামলা (মামলা নম্বর-১০৮২) দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি (মামলা নম্বর ৩৫৭৯) স্থানান্তর করা হয়। পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির নতুন নম্বর দেয়া হয় (১/২০১৫)। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারি করে ৭ টাকার শেয়ার ৪৬ টাকায় উঠানোর অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দুটি মামলার রায় দিয়েছেন বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে প্রথমটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধি নিয়ে গুজব ছড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ ও সেবা প্রদানের দায়ে মাহবুব সারোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন এ আদালত।
দ্বিতীয় রায় বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডের (বিডি ওয়েল্ডিং) শেয়ার কারসাজি মামলার আসামি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল ইসলাম ও ‘ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি’ পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিম প্রত্যেককে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।
মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সৌদি আরবের আল-আওয়াদ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিডি ওয়েল্ডিংয়ে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ই-মেইলে তথ্য আদান প্রদান করেন। এ তথ্যের কারণে ওই সময় বিডি ওয়েল্ডিং কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। ফলে আসামিরা অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হন।
এসআই/এসআইএস/এমআরআই