আগামী বাজেটে ভ্যাটের হার কমবে
১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যমান ভ্যাটের সর্বোচ্চ হার ১৫ থেকে কমে ১০ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন আইনে ভ্যাটের স্তর একটির পরিবর্তে তিনটি (৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ) রাখা হবে। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে সেক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটিকেও ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের প্রথম বছরেই আমরা ৫০ হাজার মেশিন (ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার) বসিয়ে ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করবো। এটির সংখ্যা পরবর্তীতে বেড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। তবে আমরা প্রথম বছর ৫০ হাজারের বেশি পারবো না।
আয়কর ও কর্পোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, কর্পোরেট কর যতটা সম্ভব কমানো হবে। রাজস্বে প্রধান উৎস ভ্যাট, শুল্ক, আয়কর ও কর্পোরেট কর। তাই রাজস্ব আদয়ের দিকেও নজর রাখতে হবে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হার কমিয়ে আওতা বাড়ানোর উপর জোর দেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন আইনের আওতায় ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেতা পণ্য কিনলে মূল্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভ্যাটের দৈনিক ও মাসিক হিসেব পাওয়া যায়। এমনকি এর মধ্যমে ব্যবসায়ীর বেচা-কেনার সব তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে। তাই ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
এছাড়া এ আইনে ব্যবসায়ীদের লেনদেনের বিষয়টি অটোমেশনে চলে আসলে একজন ব্যবসায়ীর সব সম্পদের হিসেব পাওয়া যাবে। আর তখন কোনো ব্যবসায়ী কর ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সেটি সহজেই ধরা পড়বে। এর ফলে ব্যবসায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি সরকারের ভ্যাট ও আয়কর থেকেও রাজস্ব আদায় বেশ বাড়বে।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর