ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আসছে বাজেট হবে বিনিয়োগবান্ধব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। সভায় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিদেশি বিনিয়োগকারী ছাড়াও এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে করহার না বাড়িয়ে বেশি মানুষের কাছ থেকে কর আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে বেশ তৎপর। ইতিমধ্যে তিনি বেশকিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। গত অর্থবছর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে ৪৪ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। এটা পূরণে কিছুটা তোড়জোর থাকে। কিন্তু অন্যায্যভাবে কারো কাছ থেকে কর আদায় করা হবে না।

কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এখন কর্পোরেট ট্যাক্স কমালে রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব পড়বে, যা কোনোভাবেই সামাল দেয়া যাবে না। এটি পর্যায়ক্রমে কমাতে হবে। কীভাবে করহার কমিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন হলে ভ্যাট আদায় বাড়বে। ভ্যাটের একাধিক হার থাকবে এবং ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালু করা হবে। মেশিন আমদানিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। এগুলো অর্থবছরের শুরুতেই ব্যবসায়ীদের মাঝে বিতরণ শুরু হবে। ইএফডি কার্যকর করতে পারলে ভ্যাট আদায় অনেকাংশেই বাড়বে বলে জানান তিনি।

বন্ডের অপব্যবহার রোধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে পণ্য এনে খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় শিল্পে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ডের পণ্য বিক্রির কয়েকটি মার্কেট গড়ে উঠেছে। এগুলো বন্ধ করা না গেলে স্থানীয় শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। এসব ফাঁকিবাজের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায় সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, সরকারকে আগে ঠিক করতে হবে বাজেট রাজস্ববান্ধব নাকি বিনিয়োগবান্ধব করবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন করেও লাভ হবে না। কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট করতে হবে। এতে প্রথমে কমলেও দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব আদায় বাড়বে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি দূর করতে এনবিআরে প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিতে হবে। রাজস্ব আদায়ে অটোমেশন সিস্টেম চালু জরুরি। যাতে ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানে বসেই রাজস্ব প্রদান ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফিকির সভাপতি শেহজাদ মুনীম বলেন, প্রতি বছর বাজেটে বড় আকারের পরিবর্তন আনা হয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। নীতি ধারাবাহিকতা এবং বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। একবারে পুরো আইন বাস্তবায়ন করে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আইনটি বাস্তবায়ন করা উচিত। যাতে ব্যবসায়ীরা আইনটির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াতে এনবিআর বাড়ি বাড়ি জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে। এটা ঠিক হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে এ ব্যবস্থা নেই। এতে হয়রানি বাড়বে। এর পরিবর্তে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ উপজেলা পর্যায়ে কর দিতে সক্ষম অনেক মানুষ আছে, তাদের করের আওতায় আনতে হবে।

এসআই/এএইচ/এমএস

আরও পড়ুন