ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ অনুকরণীয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৯

ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্টাপ পিটারসেন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লাখ লাখ শ্রমিক এই শিল্পে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ বিশ্বের যে কোনো দেশের জন্য অনুকরণীয়।

মঙ্গলবার ‘বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্পের টেকসই স্থায়িত্ব’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ১৫০ জন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গবেষক তাদের গবেষণা উপস্থাপন করবেন।

পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় উল্লেখ করে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই খাতে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পে সামাজিক দায়বদ্ধতা ইস্যুগুলোতে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. এম. সফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন পোশাক রফতানিকারক সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির, অ্যালবর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার হেসেল, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মো. রফিকুল আলম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফুল আলম, স্কুল অব বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আমানুল্লাহ, টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাল মোহন বড়াল।

ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের দীর্ঘ সহযোগিতার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এস্টাপ পিটারসেন বলেন, ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-ড্যানিডার অনুদানে ‘পোশাক শিল্পে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক গবেষণা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ডেনমার্কের অ্যালবর্গ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্ভাবনাময় পোশাক শিল্প নিয়ে এতো বড় গবেষণা কার্যক্রম এই প্রথম।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

অ্যালবর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার হেসেল বলেন, কর্মপরিবেশের উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করাই এই গবেষণাকর্মের মূখ্য উদ্দেশ্য। বিশ্বের প্রতিযোগী বাজারে পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশ অব্যাহত রাখতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত ১২টি পোশাক কারখানাকে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন এস্টাপ পিটারসেন।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমএস

আরও পড়ুন