প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ
প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার খুলনা বিভাগের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশ দেন মন্ত্রী। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় খুলনা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী যশোর-খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ কাজ, কয়রা-পাইকগাছা এলাকায় ৫৫ কি.মি. বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক থাকতে পারবে না উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত হোক। এজন্য প্রকল্পের পরিচালক যিনি থাকবেন তাকে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব নিতে হবে যেন ওই প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের মনে কোনো সংশয় না থাকে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকার চলতি অর্থবছরে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচশত সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার চারশ ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গৃহীত এসব প্রকল্পের মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে করে জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারেন।’
সরকারের সব প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য যেন জনগণ জানতে পারে বিষয়টি উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারি সব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে এজন্য সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে।’
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি’র সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ ও মহাপরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ, কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, সব প্রকল্পের পরিচালক, খুলনা বিভাগের সব জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী খুলনা নগরীতে অবস্থিত ১৯৭১: জেনোসাইড-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন। বিকেলে মন্ত্রী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শন করেন।
পিডি/জেএইচ/এমকেএইচ