বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে : বস্ত্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো পুনরায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিটিএমসির টেক্সটাইল মিলগুলো সরকারি সহায়তায় কিংবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করে টেক্সটাইল পল্লী গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিগত জোট সরকারের সময়ে দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। কিন্তু এখন বিদ্যুতের কোনো অভাব নেই। অর্থাৎ নতুন শিল্পাঞ্চল চালু করতে হলে যে বিদ্যুতের দরকার দেশে তার কোনো ঘাটতি নাই। সর্বোপরি বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালু করে শিল্পায়নের ধারাকে তরান্বিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অব্যবহৃত কোনো জমি ফেলে রাখা চলবে না। যত বেশি জমি ব্যবহৃত হবে দেশ তত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, নতুন নতুন শিল্প কারখানা সৃষ্টি হচ্ছে। পোশাক খাত অনেক এগিয়ে গেছে। সামনে আরও এগিয়ে যাবে। এ ছাড়া পিপিপির মাধ্যমে নতুন টেক্সটাইলগুলো কীভাবে আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা দরকার।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের উন্নতিকে ভঙ্গুর করে দেয়। সবার মনে রাখতে হবে, দুর্নীতি সমাজকে নষ্ট করে দেয়। কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না। যারা দুর্নীতি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। তাই যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুর্নীতির স্থান নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিটিএমসির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিটিএমসির ১৬টি মিলকে পিপিপির মাধ্যমে চালু করার জন্য তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মিল পিপিপির মাধ্যমে চালু করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি মিলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এমইউএইচ/এমবিআর/এমএস