মুনাফার অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেবে গ্রামীণফোন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৮ সালে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৫৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সমাপ্ত হিসাব বছরটিতে কোম্পানিটি যে মুনাফা করেছে তার থেকে ৮ শতাংশ বেশি।
এর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের এ কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। সব মিলিয়ে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ দাঁড়ালো ২৮০ শতাংশ।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের যে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সিংহভাগই চলে যাবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পকেটে। কারণ গ্রামীণফোনের মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে।
রোববার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা প্রথা অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোম্পানির দেয়া সেই তথ্য সোমবার বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রকাশ করেছে ডিএসই।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য যে চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তা সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফার ১০৮ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ব্যবসা করে যে মুনাফা করেছে তার থেকে বেশি অর্থ লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতের এই কোম্পানিটি শেষ চার বছরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৭ সালে গ্রামীণফোন শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১৭৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
ডিএসই জানিয়েছে, ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে গ্রামীণফোন শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ২৬ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ২০ টাকা ৩১ পয়সা। এদিকে ২০১৮ সাল শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৮ পয়সা, যা ২০১৭ সাল শেষে ছিল ২৬ টাকা ১ পয়সা।
২০১৮ সালের জন্য লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ (সোমবার) কোম্পানিটির শেয়ারের দামে কোনো সর্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম যতখুশি বাড়তে অথবা কমতে পারবে।
২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ১৩ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিকি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এমএএস/এমএমজেড/এমকেএইচ