পণ্য খালাস বন্ধ, ৬ দিন বসে আছে সিঙ্গাপুরের জাহাজ ‘ম্যাপল’
তিন কোটি টাকা পাওনা না পেয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে লাইটার জাহাজ। জাহাজটির নাম ‘গ্লোভিস ম্যাপল’। এর ফলে জাহাজটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিদিন গুণতে হচ্ছে দশ হাজার ডলার।
জানা গেছে, ভিয়েতনাম থেকে ৪৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। পরে আমদানিকারক ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজগুলোর অগ্রিম পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে গত ১৪ জানুয়ারি থেকে জাহাজটির পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি জানিয়ে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান গ্রিসের সি-ফ্রন্ট মেরিন এস এ প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে জরুরি পত্র পাঠিয়েছে।
সূত্র জানায়, সাধারণত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্য পরিবহন বিলের ৬০ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করে। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং তা করেনি। এতে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান লাইটার জাহাজ ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে এই ক্যারিয়ারের অনুকূলে লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেয়া স্থগিত করা হয়। মূলত এ কারণে গ্লোভিস ম্যাপল থেকে পণ্য (পাথর) খালাস বন্ধ হয়ে যায়।
পণ্য খালাসে দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের কাদেরীয়া এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছে তিন কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছেন। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে টাকা না পাওয়ায় তারা ডব্লিউটিসিকে টাকা দিতে পারছে না। ডব্লিউটিসি লাইটার জাহাজ মালিকদের টাকা দিতে পারছে না। এতে ডব্লিউটিসি তাদের নামে লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, লাইটার জাহাজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় আটকা পড়েছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ গ্লোভিস ম্যাপল। এর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে আমদানিকারকদেরকে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য জাহাজ ভাড়া করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
আরএস/এমএস