সারসো ও বিমসটেকের সদর দফতর হবে ঢাকায়
বাংলাদেশে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দফতর স্থাপনে অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ অনুমতির মধ্যদিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মান সংস্থা ‘সারসো’ ও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত দেশের জোট ‘বিমসটেক’র সদর দফতর স্থাপনে আর কোনো বাধা থাকলো না।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘হেডকোয়াটারস অ্যাগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (সারসো)’ শীর্ষক চুক্তিতে একটি মান সংস্থার সদর দফতর প্রতিষ্ঠিত হবে।
আর সাত দেশের জোটের সদর দফতরের জন্য ‘হেডকোয়াটারস অ্যাগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গর্ভনমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য সেক্রেটারিয়েট অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)’ চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোনো দেশে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দফতর স্থাপনে সে দেশের অনুসমর্থন লাগে বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘সারসো’র সদর দফতর স্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। এটা বাংলাদেশ সরকারের সফল কূটনৈতিক কাজের পরিচয়।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত (ভোটিং) নিয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির আলোকে চুক্তিটি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সদর দফতর এবং আর্কাইভসের অলঙ্ঘনীয়তা এবং সম্পত্তির সুরক্ষার বিষয়টি চুক্তির মধ্যে উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া কার কী দায়িত্ব, মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার প্রিভিলেজ (সুযোগ-সুবিধা), দায় মুক্তি এবং হোস্ট গভর্নমেন্ট (বাংলাদেশের) বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে মিয়ানমারে বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সচিবালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের পর জুন মাসে স্থায়ী সচিবালয় স্থাপিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা থেকে এর প্রথম মহাপরিচালক ও প্রথম পরিচালক মিয়ানমার থেকে, বাংলাদেশ থেকেও একজন পরিচালক আছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিমসটেকের সচিবালয় উদ্বোধন করেন।
এসএ/এসকেডি/একে