মেলার দ্বিতীয় দিনেও শেষ হয়নি স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণ
দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিভিন্ন সময় কারাবন্দিদের তৈরি পণ্যের পসরা নিয়ে বাণিজ্য মেলায় বসেছে বাংলাদেশ কারাপণ্য স্টল। বিভিন্ন কারাগার থেকে স্টলে ইতোমধ্যে পণ্য আসতে শুরু করেছে। তবে মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টল নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য প্রর্দশন করা হচ্ছে না। সেখানে কর্মরতরা জানান, পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরও দুই-একদিন লাগবে।
মেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, কারাপণ্য স্টলের মতো মেলার অনেক স্টল, প্যাভিলিয়ন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের স্টল, প্যাভিলিয়নও এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
কারাপণ্যের পাশেই বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের স্টল নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে কর্মরতরা জানান, স্টলের কাঠামোই এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তারপর স্টলে পুকুর তৈরি, সাজসজ্জাসহ অনেক কাজ রয়ে গেছে। পুরো কাজ শেষ করতে এখনও ৫ থেকে ৬ দিন লেগে যেতে পারে।
তবে সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীদের ঘুরতে ও পণ্য কিনতে দেখা যায়।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকারের স্টলগুলোর বড় একটা অংশেরই নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে বড় স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোর বড় অংশেরই নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখছে ও পছন্দের পণ্য কিনছে।
এ বছর মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখছে মেলা কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বেঞ্চ তৈরির কাজও শেষ হয়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর আয়োজনে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মেলার উদ্বোধন করবেন। শেষ হবে ৮ ফেব্রয়ারি।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবার অনলাইনে মেলার টিকিট পাওয়া যাবে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়নের ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ স্টলের সংখ্যা ৪১২টি।
এসআর/আরআইপি