ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

‘পচা’ কোম্পানির শেয়ার দাম দেড় হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

মোটা অংকের লোকসানে থাকায় বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে না পারায় নর্দান জুটের স্থান হয়েছে ‘জেড’ গ্রুপে বা ‘পচা’ কোম্পানির তালিকায়। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

শেয়ারবাজারের শেষ দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দেড়শ’ টাকারও বেশি বেড়ে প্রায় দেড় হাজার টাকায় পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে সোমবার তথ্যও প্রকাশ করেছে ডিএসই।

ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে গত ৬ জানুয়ারি নোটিস পাঠানো হয়। তার জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিন মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গত ১৪ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ৪০০ টাকা, ৬ জানুয়ারি লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৫৪ টাকায়। অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা।

এর মধ্যে শেষ দুই কার্যদিবসে বা ৩ ও ৬ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে দেড়শ টাকারও বেশি। ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, যা টানা বেড়ে ৬ জানুয়ারি দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৫৪ টাকায়। অর্থাৎ দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৫৪ টাকা।

কোম্পানিটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা পৌনে ১২টা) কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৭০ টাকা।

শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও কোম্পানিটি ২০১৭ সালের সমাপ্ত বছরের মোটা অংকের লোকসান করেছে। হিসাব বছরটিতে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ১৭ টাকা ১৫ পয়সা। লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠানটি কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটি ‘পচা’ কোম্পানি বা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হয়েছে।

ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির কোনো শেয়ার নেই।

এমএএস/আরএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন