লভ্যাংশ না দেয়া শাইনপুকুর সিরামিকের অস্বাভাবিক দাম
বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়া শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার দাম ১০ কার্যদিবসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার টাকা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে সোমবার তথ্যও প্রকাশ করেছে ডিএসই।
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৬ জানুয়ারি নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অনেকটা টানা বেড়েছে। ওই দিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। যা বেড়ে ৬ জানুয়ারি দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ১০ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।
এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। যে কারণে পুঁজিবাজারের পঁচা কোম্পানি বা 'জেড' গ্রুপে স্থান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া শাইনপুকুর সিরামিক ২০১২ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়। তবে নগদ লভ্যাংশ কখনও দেয়নি কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির বছর অর্থাৎ ২০০৮ সালে লভ্যাংশ হিসেবে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর ২০০৯, ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে ১৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেয় কোম্পানিটি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার। আর ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম