৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ পেছানোর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আগামী বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে এবারের মেলার উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইপিবির উপ-পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়েই অর্থাৎ আগামী ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করবেন। মেলা আর পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন করে থাকেন। কিন্তু এবার তিনি সময় দিতে পারেননি। তাই মেলা পেছানোর কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলা না পিছিয়ে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে মেলা উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ আয়োজনে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী মাঠে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার আয়োজক কমিটি জানিয়েছে এবারের বাণিজ্য মেলাকে আরও দৃষ্টিনন্দন করতে প্রধান গেট মেট্রোরেলের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের থিম থাকবে মেলাজুড়ে। ইতোমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারের মেলায় ভিন্ন আঙ্গিক আনার চেষ্টা করা হয়েছে। মেলার প্রধান ফটকেও আসবে পরিবর্তন। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য মেলার ভিতরে খোলামেলা স্থান রাখা হবে। যাতে পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আর মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবনের আদলে ইকো পার্ক করা হবে। সেই সঙ্গে থাকবে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি)। যার মাধ্যমে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন অতি সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন।
এ ছাড়া মেলায় কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেলায় মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্কসহ পর্যাপ্ত এটিএম বুথ থাকবে। আরও থাকছে তৈরি পোশাক, হোমটেক্স, ফেব্রিকস, হস্তশিল্প, পাট-পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক পণ্য, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী। থাকবে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণসামগ্রী ও ফার্নিচারের স্টল।
মেলায় সংরক্ষিত মহিলা স্টল থাকবে ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯টি, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৯টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ৯টি, বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি। এ পর্যন্ত ৫২১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মেলায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা।
এমইউএইচ/এমএমজেড/পিআর/এসজি