বাজার ঊর্ধ্বমুখী রেখে ভোটে বিনিয়োগকারীরা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। ভোট উৎসবের আগে টানা ঊর্ধ্বমুখীতায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা চলছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকেও মন্দাভাব অব্যহত ছিল। এমনকি শেষ সাত কার্যদিবসের আগে টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের ঘটনাও ঘটে। তবে ভোটের আগের শেষ সাত কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকলো পুঁজিবাজার।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে টানা সাত কার্যদিবসের ঊর্ধ্বমুখিতায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬৭ পয়েন্ট। এর আগের সাত কার্যদিবসের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকটি কমে ১৪৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা ১৪৩ পয়েন্ট হারানোর পর ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ১৬৭ পয়েন্ট ফিরে পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোটের আগের শেষ কার্যদিবসের পাশাপাশি ছিল বছরের শেষ কার্যদিবসও। বছরের শেষ কার্যদিবসের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। যদিও দুপুর ১২টার দিকে কিছুটা ঋণাত্মক হয়ে পড়েছিল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক। তবে শেষ আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সূচকের বড় উত্থান দিয়েই লেনদেন শেষ হয়েছে।
মূল্য সূচক বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১০৮টি। আর ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। ব্যাংকটির ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেএমআই সিরিঞ্জ, খুলনা পাওয়ার, বিবিএস কেবলস, কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং গ্রামীণ ফোন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৪টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৯৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম।
এমএএস/এএইচ /এমকেএইচ