ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মার্জিন হিসাবে ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকার’র মক্কেলের মার্জিন হিসাবের পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায় ক্ষতির বিপরীতে রাখা প্রভিশন সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে কমিশনের ৬৬৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিশন সভায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভিশন সংরক্ষণ সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের পর ২০১৩ সালে স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারের অনাদায় ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে সুবিধা দিয়ে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

বিএসইসি’র জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্সের ১৯৬৯ সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কমিশন স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলারগুলোর অনাদায় ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক ডিলারদের ডিলার হিসাবে (ডিলার একাউন্ট) ধারণ করা শেয়ারের, স্টক ব্রোকার কর্তৃক গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টন করা মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয় করা শেয়ারের এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো (যার জন্য প্রযোজ্য) নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ধারণ করা শেয়ারের ও গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টন করা মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয় শেয়ারের পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১২ হতে ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিশন।

এসব সুবিধা কেবল ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত বছরে (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) উদ্ভুত পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির (অনাদায়কৃত) প্রভিশনের জন্য প্রযোজ্য হবে। তৎপরবর্তী সময়ে রক্ষিতব্য প্রভিশন (যদি থাকে) যথানিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উপর্যুক্ত সুযোগগুলো গ্রহণ করার ফলে ওই আর্থিক বছরের জন্য কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) প্রদান করা যাবে না।

তবে পরবর্তীতে কয়েক দফা প্রভিশন সংরক্ষণের এ সুবিধা বাড়িয়েছে বিএসইসি। বুধবারের আগে ২০১৭ সালে প্রভিশন সংরক্ষ সংক্রান্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কমিশন, স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলারগুলো অনাদায় ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য সুবিধা প্রদান করল।

ক) স্টক ডিলারদের, ডিলার হিসাবে (ডিলার অ্যাকাউন্ট) ধারণ শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ ভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদান করা হলো।

খ) স্টক ব্রোকার কর্তৃক গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টন করা মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয় শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ ভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদান করা হলো।

তবে এসব সুবিধা কেবল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) উদ্ভুত পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির (অনাদায়) প্রভিশনের জন্য প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। তৎপরবর্তী সময়ে রক্ষিতব্য প্রভিশন (যদি থাকে) যথানিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে। এই সুযোগগুলো গ্রহণ করার ফলে ওই আর্থিক বছরের জন্য কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে না।

এমএএস/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন