লাগামহীন ডিমের দাম
প্রতিনিয়তই মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর। রমজান মাসে শাকসবজি, পেয়াজ-বেগুনের পর এবার রাজধানীতে আরেক দফা বেড়েছে ডিমের দাম।
খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৪০-৪২ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৫০-৫২ আর হাঁসের ডিমের হালি ৪৫-৪৮ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, পাইকারি বাজারেও ডিমের চড়া দাম। একসঙ্গে ১০০ ডিম কিনলে হালি প্রতি ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম পড়ে ৩৬-৩৮ টাকা, হাঁসের ৪২-৪৪ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ৪৬-৪৮ টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এ বাজারে ডিমের দর হালিতে ২-৪ টাকা বেশি।
কাটাবনের স্থানীয় আইয়ানুল হক জাগো নিউজকে জানান, রমজান মাসের পর থেকেই ডিমের দাম হালি প্রতি ২ টাকা ৪ টাকা করে বাড়ছে। আমরা কোন প্রতিবাদ করছিনা বলেই কারণ ছাড়া তারা দাম বাড়াচ্ছে।
তবে হাতিরপুল বাজারের রহমত ট্রেডার্সের বিক্রেতা আইনুল জাগো নিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে ডিম পরিবহন করতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণেই পর্যাপ্ত ডিম ঢাকায় আসছে না। সরবরাহ কম থাকায় দামও বেশি।
একই অভিযোগ টাঙ্গাইলের ডিম বিক্রেতা সাঈদুরের। তিনি জানান, বন্যার কারণে অনেক দেশি মুরগি মারাও যাচ্ছে, ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবহণ সংকটের কারণে ডিম সংগ্রহের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়, বেশি দামে কিনতে হয়। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। এমন চলতে থাকলে সামনে দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সাজ্জাদ নামে আরেক ডিম বিক্রেতা জাগো নিউজকে জানান, বাজারে মাছ, মাংস, ডাল ও শাকসবজির দাম বাড়ার কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আর এ কারণে বাজারে ডিমের সংকট তৈরি হয়েছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলে এবং পরিবহণ ব্যবস্থা ভাল থাকলে ডিমের দাম ৩৫ টাকার নিচে নেমে আসবে বলে জানান তিনি ।
এদিকে ডিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির মাংসের দাম কমেছে। হাতিরপুল বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬৫ টাকায়। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম এখনো চড়া রয়েছে। ২৭৫-৩০০ টাকার নিচে বাজারে দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
বাজার করতে আসা সুজন আহমেদ নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারীি কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, বাজারে ডিমের কিংবা মাংস কোনটারই সংকট নেই। চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই ডিমের দাম বেশি রাখছে। আমরা ঢাকা শহরের মানুষ যদি একদিনের জন্য ডিম কেনা বন্ধ রাখি তাহলেই তারা দাম কমিয়ে ফেলবে।
এআর/এসকেডি/পিআর