ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ব্যাংকখাত নিয়ে সিপিডির তথ্য রাজনৈতিক : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরে দেশের ব্যাংকখাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাটের যে তথ্য প্রকাশ করেছে সিপিডি তাকে রাজনৈতিক বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, সিপিডি যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা ঠিক নয়। এসব অর্থ থেকে বেশ কিছু টাকা ফেরত আসবে। তাই সিপিডির দাবিকে `জাস্ট রাবিশ’বলে মন্তব্য করেছি।

সচিবালয়ে নিজ দফতরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়নি। কিছু টাকা উদ্ধার হতে পারে। আর এ টাকার বিপরীতে তো ব্যাংকগুলো প্রভিশন রেখেছে। তাই এর কিছু অংশ উদ্ধার হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

মুহিত আরও বলেন, ‘সম্ভবত সিপিডির সভাপতি মিস্টার রেহমান সোবাহন দেশের ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি বোঝেন নাই।’

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু করেনি- এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুদুক বাচ্চুর ব্যাপারে কী করছে তা আমি জানি না। আমাদের চোখের সামনে থেকে এখনও বাচ্চু চলে গেছে সে জন্য আমি খুব খুশি। এখন সে কোথায় আছে তা আমি জানি না। বাচ্চু একজন প্রতারক ও চোর।’

আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে-ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্ট ইউনিটের এ রিপোর্ট প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ‘ভালো রিপোর্ট। তবে এরা অনেক সময় উল্টাপাল্টা রিপোর্টও করে। তারা আবার বলেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও অস্থিতিশীলতা থাকবেই। প্রত্যেকটা দেশেই এমন অস্থিরতা থাকেই, এ নিয়ে ভাবার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।’

ব্যাংকের এমডিদের অ্যাসোসিয়েশনের ঋণ খেলাপিদের দায়ী করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সর্ম্পূণ ঠিক নয়। ব্যাংকের লোকরা যারা ঋণ দেয় তারাও দায়ী হতে পারে।’

গত শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল এক দশকে ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানানো হয়। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এমইউএইচ/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন