ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আয়কর মেলায় মিলছে যেসব সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

>> ঢাকাসহ দেশব্যাপী মেলা শুরু
>> উপচেপড়া ভিড় ঢাকায়
>> ‘এখানে রিটার্ন জমা দেয়া সহজ’

সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা ২০১৮-এর প্রথম দিনে মঙ্গলবার ঢাকায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঢাকার পাশাপাশি এদিন সারাদেশে শুরু হয়েছে এই মেলা।

‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’ স্লোগানে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া এই নবম আয়কর মেলার প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’।

কেন্দ্রীয়ভাবে এবার মেলা বসেছে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে। গত দুই বছর ধরে আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার তা ফিরে এসেছে পুরনো প্রাঙ্গণে।

income-tex-2.jpg

রিটার্ন জমা দিতে আসা শ্যামলী চ্যাটার্জী বলেন, সকালেই চলে আসতে চাইছিলাম। আসলাম দুপুরে। প্রথম দিনেই রিটার্নটা জমা দিতে চাই। প্রতি বছর মেলাতেই রিটান জমা দিয়ে থাকি।

এসএমই উদ্যোক্তা শ্যামলী বলেন, এখানে রিটার্ন জমা দেয়া কিছুটা সহজ। এদের আন্তরিকতাও থাকে।

মেলার আয়োজক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা শেষ হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। গত ৮ বছরে আয়কর মেলা পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, বেড়েছে জনপ্রিয়তা। মেলায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। ২০১০ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে আয়কর মেলায় সেবাগ্রহীতা ও রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ গুন। একই সময়ে মেলা থেকে নিবন্ধন নেয়া নতুন করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুন ও রিটার্ন জমা দেয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৬ গুন।

income-tex-2.jpg

এনবিআরের তথ্যমতে, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সাত দিন, জেলা শহরে চারদিন, ৩২ উপজেলায় দু-দিনব্যাপী আয়কর মেলা এবং ৭০টি উপজেলায় এক দিন ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ও আলোকসজ্জায় সেজেছে মেলাগুলো। এ ছাড়া আয়কর মেলা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে করবিষয়ক এসএমএসও পাঠানো হয়েছে। টিভি ও টকশোতেও থাকবে মেলা সম্পর্কে আলোচনা। সচেতনতা বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে আয়কর ডকুমেন্টারি ও ডকু ড্রামা, যা প্রচার করা হবে বিভিন্ন টেলিভিশন ও মেলায়।

মেলায় মিলছে যেসব সুবিধা

করদাতারা সহজেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। ঢাকায় প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য আলাদা বুথ থাকছে। নেয়া যাচ্ছে নতুন কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন)। এনবিআরের ‘ই- পেমেন্ট’ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পরিশোধ করা যাচ্ছে কর। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য রয়েছে আলাদা বুথ। মেলায় স্থাপিত সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথে করদাতারা আয়কর জমা দিতে পারছেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন শুল্ক, ভ্যাট, সঞ্চয় অধিদফতর, বিসিএস (কর), একাডেমি, কাস্টমস একাডেমি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের পৃথক পৃথক বুথ রয়েছে। এসব বুথ থেকে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিভাগ সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারছেন।

income-tex-2.jpg

করদাতাদের মেলা প্রাঙ্গণে আয়কর রিটার্ন, ই-টিআইএন আবেদন ফরম এবং চালান ফরম সরবরাহ করা হবে। করদাতাদের সুবিধার্থে মেলায় হেল্প ডেস্ক, তথ্যকেন্দ্র ও আয়কর অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত বুথ রয়েছে। এসব বুথের মাধ্যমে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, চালান ও পে-অর্ডার প্রস্তুতসহ আয়কর আইনবিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। করদাতাদের সুবিধার্থে মেলায় রয়েছে ফটোকপির ব্যবস্থাও।

এমএ/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন