ফলপ্রসূ সংলাপের প্রত্যাশায় ব্যবসায়ীরা

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের এ সংলাপ ফলপ্রসূ হবে এমটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুর এখন আর কেউ পছন্দ করে না। আর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ফলপ্রসূ সংলাপ অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭২’র সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্য সংবলিত চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আশাকরি দেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন হবে। সবাই যেহেতু আগ্রহ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন, নিশ্চয় একটা আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন।

‘আমরা আশাকরি দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সবাই এ নির্বাচনে অংশ নেবে। দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা আর সৃষ্টি হবে না। কারণ দেশের মানুষ ভাঙচুরের রাজনীতি আর পছন্দ করে না’- যোগ করেন তিনি।

এফবিসিসিআই পরিচালক আবু নাসের বলেন, ব্যবসায়ীরা চায় দেশে সব সময় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। রাজনীতি ও অর্থনীতি একটি অন্যটির পরিপূরক। রাজনৈতিক অঙ্গন স্থিতিশীল থাকলে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে।

তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে। যার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ী হিসেবে মনেকরি এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আশা করছি সরকার ও বিরোধীপক্ষের এ রাজনৈতিক নির্বাচনী আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।

‘দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসবে এটাই ব্যবসায়ী সমাজের প্রত্যাশা’ বলেন তিনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সব দলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন ব্যবসায়ী মহলের প্রত্যাশা। যত দ্রুত সকলে বসে সংবিধান সম্মত একটি সিদ্ধান্ত নিবে, সবার জন্য ততোই মঙ্গল।

তিন বলেন, আমরা চাই দেশে ব্যবসার পরিবেশ ভালো থাকুক। অনিশ্চিত অবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগের জন্য ভালো না। প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপে বসার যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তা অত্যান্ত ভালো উদ্যোগ। যদি একটি সফল মিটিং হয় তাহলে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ফলপ্রসূ হবে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেশের সব মানুষ চায়। সেই নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিতরা সরকার গঠন করবে। তাহলে বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং যে প্রবৃদ্ধি রয়েছে তা অব্যহত থাকবে।

এমএএস/এসআই/এএইচ/এমএস