গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বিশ্বের ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি করে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-২ আসনের এমপি আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাসিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, যেখানে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৮টি দেশে মাত্র ২৫টি পণ্য রফতানি করে ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। তা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তোফায়েল আহমেদ জানান, পণ্যের তালিকায় নতুন আইটেম সংযোজন করার জন্য সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে কিছু হলো - যুগোপযোগী রফতানি নীতি প্রণয়ন, শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা, সেবা সহজিকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিক উইংকে অধিক কার্যকরি করা, নগদ সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যমেলা, বাণিজ্য মিশন পাঠানো, রফতানি ট্রফি ও সি/আইপি কার্ড প্রদান প্রভৃতি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্বের ৪৫ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি
নুরজাহান বেগমের (মহিলা আসন-৪২) অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৪৫ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি আছে। দেশগুলো হলো- আলজেরিয়া, আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ব্রাজিল, বেলারুশ, চেকোশ্লোভাকিয়া, মিশর, হাঙ্গেরি, ইরান, ইরাক, কেনিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, মালি, মরক্কো, পোল্যা-, রোমানিয়া, সেনেগাল, সুদান, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ইউএসএস, যুগোশ্লাভিয়া, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, জার্মানি, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে চেক প্রজাতন্ত্র, কম্বোডিয়া ও মেক্সিকোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যচুক্তি সই করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পোশাক থেকে রফতানি আয় ২৮ হাজার ১৪৯ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
এমপি দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ১৪৯ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। তার দেয়া তথ্য মতে ২০০২-২০০৩ অর্থ বছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৪ হাজার ৯১২ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১০-১১তে ১৭ হাজার ৯১৪ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এর পরিমাণ ২৮ হাজার ১৪৯ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
পোশাক খাতে আয় উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এইচএস/জেডএ/পিআর