এক কার্যদিবস পরেই পতনে শেয়ারবাজার
বড় দরপতনের পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও বুধবার (১৭ অক্টোবর) আবার পতন হয়েছে।
দরপতন হলেও এদিন লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৩টির। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক পাঁচ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেপিসিএলের ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ড্রাগন সোয়েটার।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- সামিট পাওয়ার, ইফাদ অটোস, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, বিবিএস কেবলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নূরানী ডাইং।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬১টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৩৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দাম।
এমএএস/এএইচ/আরআইপি