এলপিজি সরবরাহে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে আইএফসি
বিশ্বব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইএফসি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে বাংলাদেশে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে, যা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের সক্ষমতা দ্বিগুণ করবে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য হিসেবে এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের অঙ্গসংস্থা ওমেরা পেট্রোলিয়ামের মাধ্যমে এ অর্থ বিনিয়োগ করছে আইএফসি। এতে করে সারাদেশে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে।
আইএফসির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, আইএফসির এই ঋণের মাধ্যমে এলপিজি সরবরাহের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে এবং প্রায় প্রত্যেক উপজেলায় এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবে। এই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত সাড়ে তিন লাখ বাড়িতে এলপিজি সরবরাহ সম্প্রসারিত হবে।
এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার কেরোসিন, কাঠ এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ রান্নার জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সীমিত সংরক্ষণে সাহায্য করবে বলেও আশা করা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার জ্বালানির প্রধান উৎস হিসেবে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচারণা চালাচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৭০ শতাংশ বাড়িতে রান্নার জ্বালানি হিসেবে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। পাশাপাশি যানবাহনে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এবং শিল্পকারখানায় এলপিজির ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের দায়িত্বে নিয়োজিত কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়েরনার বলেছেন, আইএফসি বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য বিশুদ্ধ জ্বালানি সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিদ্যুতের সরবরাহ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ জ্বালানির ব্যবহার বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে দুটি গুরত্বপূর্ণ সমস্যা। এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গত পাঁচ বছরে আইএফসি প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য এটিই আইএফসির প্রথম বিনিয়োগ।
এমএ/বিএ