সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেন
বড় দরপতনের এক কার্যদিবস পরেই মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটির মূল্য সূচক বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। অবশ্য সিএসইতে মূল্য সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে।
মূল্য সূচক বাড়লেও এদিন ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার থেকে বেশি কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৫২টি। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, বিবিএস কেবলস, ইনটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
এমএএস/এসআর/জেআইএম