ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগকারীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৪ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির স্বচ্ছতা জোরদার করতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগকারীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, যে সকল ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। এমনকি একটি সময় পর তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ডিএসইর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব তথ্য জানান।

ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনার উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, স্বপন কুমার বালা, খোন্দকার কামালউজ্জামান, ডিএসইর এমডি কে এ এম মাজেদুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভালো প্রাইজ যদি না পায় তাহলে ভালো উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন না। এ জন্য আমরা বুকবিল্ডিং সিস্টেমে বিরাট একটা কোটা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রেখেছি।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংজ্ঞায় পরিবর্ত আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্রোকার-ডিলার যারা নিজেদের ডিলার অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে না তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।

‘যে সমস্ত ব্রোকারেজ হাউজ কনসুলেটড কাস্টমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীর টাকা নিয়ে নিজে ব্যবসা করছে, লোন দিচ্ছে অথবা ব্যাংকে খাটাচ্ছে তাদেরকেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে’ যোগ করেন খায়রুল হোসেন।

দুই বছরের মধ্যে কমপক্ষে একটি আইপিও আনতে না পারা ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পাওয়া মার্চেন্ট ব্যাংকও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, যে সমস্ত মার্চেন্ট ব্যাংক আমাদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে এবং যাদের নির্দেশ ছিল দুই বছরের মধ্যে একটি আইপি আনতে হবে। আইপিও আনতে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।

খায়রুল আরও বলেন, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাজ বাজারে সাপোর্ট দেয়া। যে সমস্ত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বাজারকে সাপোর্ট দিতে পারবে না তাদেরকেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য মানি মার্কেটের শৃঙ্খলা ফিরে আসা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানি মার্কেটের অবস্থা যদি ভালো না হয় এবং সেখানে যদি লোন নিয়ে ফেরত না দেয়ার সংস্কৃতি বন্ধ না হয়, তাহলে পুঁজিবাজারে ফান্ড আসবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মোবাইলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে- সমনে নির্বাচন আছে ফ্যাসাদ হবে। সুতরাং শেয়ার বিক্রি করে দাও।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সহায়তা করে না, এটা ওপেন সিক্রেট। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করার পরও তারা তা মানে না।

এ সময় ব্যাংকের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়িদি অর্থায়নের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা দিয়ে আর কতদিন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হবে? বাংলাদেশেরর অর্থনীতি এমন বিপজ্জনক মাত্রা ধারণ করেছে পাঁচ বছর পর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অর্থ পাওয়া যাবে না।

এমএএস/বিএ

আরও পড়ুন