অজপাড়া গাঁয়ের নারী শ্রমিকরাও টাকা তোলেন বুথ থেকে
শ্রমঘণ্টা শেষ করে বাড়ি ফেরার তাড়া। অফিস থেকে ফিরে বাজার করতে হবে। কারখানার প্রধান ফটকের সামনে আসতেই দাঁড়িয়ে পড়েন শিউলি বেগম। হাতের মুঠোয় থাকা পার্টস থেকে এটিএম কার্ড বের করে বুথে প্রবেশ করেন। খানিক পর টাকা গুণতে গুণতে বের হয়ে আসেন।
শহরের শিক্ষিতজনরা এখন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। শহুরে নারীরাও বুথের টাকায় ঝুঁকছেন। তাই বলে গ্রামের নারীরাও! প্রায় অশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত নারী শ্রমিকরাও এখন বুথে গিয়ে টাকা তুলতে লাইনে দাঁড়ান!
হ্যাঁ, প্রাণ এ্যাগ্রো লিমিটেড ও নাটোর এ্যাগ্রো লিমিটেড-এর শ্রমিকরা এখন বুথ থেকে এটিএম কার্ড দিয়েই টাকা উত্তোলন করেন। প্রায় গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত প্রাণ কোম্পানির সব শ্রমিকই ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পান। তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেন বলে শ্রমিকরা জানান।
সম্প্রতি নাটোরের একডালায় প্রাণ ফ্যাক্টরিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক থেকে ভেতরে প্রবেশ করলেই ডান পাশে পূবালী ব্যাংকের একটি বুথ। ফ্যাক্টরির শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই এই বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
কথা হয় শ্রমিক সাথী বেগমের সঙ্গে। বলেন, ব্যাংকে যেতে হয় না বেতন তুলতে। আবার নগদ টাকা বহনের ঝামেলাও নেই। ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পাই। বুথ থেকে নিজের ইচ্ছামতো তুলে খরচ করি। এর চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের আর কী হতে পারে?
সাথীর সঙ্গে একই ফ্লোরে কাজ করেন শারমীন। বলেন, হাতের কাছে ব্যাংকের বুথ। অনেক অশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিকরাও এখন বুথ থেকে টাকা তোলেন। বেতন যাই পাই, সেটা যদি মাসের শুরুতে পাই, তাহলে তো আনন্দের শেষ থাকে না। আর বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ থাকায় ইচ্ছামতো খরচের আনন্দই আলাদা।
এএসএস/এমএআর/আরআইপি