এফডিসির উন্নয়নে ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প
দেশের চলচ্চিত্রের সোনালি দিন আর নেই। সবই অতীত। বেহাল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)। ঢাকার চলচ্চিত্রের সেই ঝলমলে দিন ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
এম এ মান্নান বলেন, মৃতপ্রায় চলচ্চিত্র শিল্পকে উজ্জীবিত করতে বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় বহুতল এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হবে চারটি থ্রিডি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স। নির্মাণ করা হবে ৭৩ হাজার ৪৬৯ বর্গমিটার শুটিং ফ্লোর। এর ফলে বিনোদনের নতুন দিক উন্মোচন হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পের বিরাজমান মহামন্দা থেকে গৌরবময় সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় নির্মিতব্য ভবনে নানা রকম কারিগরি ও আধুনিক সুবিধা স্থাপন করা হবে। ‘গ্রিন বিল্ডিং’ ধারণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভবনটিতে ছাপ থাকবে হাতিরঝিল প্রকল্পের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের।
এর আওতায় স্থাপন করা হবে ডিজিটাল প্রজেক্টর ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমসমৃদ্ধ চারটি সিনেপ্লেক্স। বর্তমানে বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে এ ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিএফডিসির সিনেপ্লেক্সে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হলে বাড়বে চলচ্চিত্র নির্মাণের হার।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।
১৯৫৭ সালে বর্তমানের এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকায় চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সোনালি ঝলমলে অধ্যায় ৭০ থেকে ৮০ দশক। ওই সময় রেকর্ডসংখ্যক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এফডিসিতে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতা কমে এসেছে। কমেছে প্রেক্ষাগৃহ ও দর্শকসংখ্যা।
এমএ/বিএ