রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষায় ২০০ কোটি টাকা অনুদান বিশ্বব্যাংকের
স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা দেয়ার পরপরই রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা প্রদানে বাংলাদেশকে ২০০ কোটি টাকার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক এ সংস্থাটি সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা দেয়। শুক্রবার সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আড়াই কোটি ডলার অনুদান অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা (৮০ টাকা প্রতি ডলার)। চলমান প্রকল্পে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এখানে কানাডার পক্ষ থেকে দেয়া ৪০ লাখ ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ চরম উদারতার পরিচয় দিয়েছে। মিয়ানমারে ভয়ঙ্কর সহিংসতা, নির্যাতন দেখে আসা রোহিঙ্গা শিশুরা এখনো মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ও জীবন ধারণের সঠিক পথ খুঁজে না পেলে এই প্রজন্ম সময়ের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। সুতরাং তা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।’
বলা হয়েছে, প্রায় ৩৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এটি চলমান সহযোগিতার দ্বিতীয় ধাপ। বিশ্বব্যাংকের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসন প্রজেক্টের আওতায় এই অনুদান ধাপে ধাপে আরও বাড়ানো হবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ভয়াবহ সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের মানসিক ক্ষতি যতটা সম্ভব কাটিয়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য।
এই অনুদানের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক বলছে, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা প্রদানে চলমান রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রজেক্ট-২ (আরওএসসি-২) কে আরও দুই বছর দীর্ঘায়িত করতে হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এই প্রজেক্টের আওতায় স্থানীয় প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে, তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এমএ/এমআরএম