ফি ছাড়াই পাঠানো যাবে রেমিট্যান্স : অর্থমন্ত্রী
প্রবাসীরা যাতে বিনা খরচে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৭টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ২৯ জন ব্যক্তি, ৫ ব্যাংক ও ৩টি প্রবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন প্রবাসীদের ফি দিয়ে টাকা পাঠাতে হয়। ফি দিয়ে যাতে পাঠাতে না হয় তার একটি প্রস্তাব আমরা বিবেচনা করছি। যারা রেমিট্যান্স পাঠান তাদের একটা কষ্ট আছে। তাদের কীভাবে সে খরচ দেয়া যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। আশা ছিল স্কিমটি কিছুদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারবো। তবে আমি নিশ্চিত নই যে এটি করে যেতে পারবো কিনা। তবে ভবিষ্যৎ সরকার তা এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, যখন পাকিস্তান ছিল তখনও রেমিট্যান্স আসতো। আনার জন্য কিছু ব্যাবস্থা ছিল। বন্ড অ্যান্ড পারচেস ছিল। কিন্তু তখন আসা ওই রেমিট্যান্সের প্রভাব অর্থনীতি ও মুদ্রানীতিতে তেমন ভালো ছিল না। এখনো অনেকেই বলেন আগের ওই পদ্ধতির কথা। আমি এটার ঘোরবিরোধী। আমি শক্তভাবে এর আপত্তি করি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে শুধু অভিনন্দন দেয়াই ঠিক নয়। অভিনন্দন তাদের প্রাপ্য। তারচেয়ে বড় কথা তারা অর্থনীতির ভিত মজবুত করছে।
বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত অর্থবছরে ১৪ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি বৃদ্ধি পায়নি। এই আমদানি-রফতানি ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি ৭.৮৬ শতাংশ। আমরা আশাকরি আগামী বছর ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জনে বিদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
হুন্ডি ব্যবস্থা রুখে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর। এছাড়ও সকল প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
এসআই/বিএ