গ্যাসের দাম ‘সহনীয়’ পর্যায়ে বাড়ানোর পরামর্শ জ্বালানি উপদেষ্টার
এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) চলে আসায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) ‘সহনীয়’ পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়াতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিদ্যুতের ‘নেট মিটারিং: অপরচুনিটি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএমএবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গত জুলাইয়ে গণশুনানি হয়েছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিইআরসি। তবে গ্যাসের দাম শিগগিরই বাড়ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দাম একবারে বাড়ে না, ধীরে ধীরে বাড়ে। এখন যেহেতু এলএনজি এসে গেছে। আমরা অপেক্ষা করছি, দাম বাড়ে কি না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি যদি দাম বাড়াতেই হয়, তাহলে সহনীয় পর্যায়ে বাড়াতে। সেটা গৃহস্থলী, শিল্প বা ক্যাপটিভ পাওয়ার যেটাই হোক। আমরা আস্তে আস্তে দাম বাড়াতে চাই’।
সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতে বর্তমানে আমাদের ২০ হাজারের মতো ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাই অনেকে ভাবছেন কীভাবে ভবিষ্যতে আমরা উৎপাদন ৪০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
এফইআরবি প্রেসিডেন্ট অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সদরুল হাসানের সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, এসএমএমএবির প্রেসিডেন্ট মনোয়ার মেজবা মঈদ, ওমেরা সোলারের নির্বাহী পরিচালক মাসুদুল রহিম প্রমুখ।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম