অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার : শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, নতুন নির্মিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তারা শিল্প স্থাপনের পর জমি ফাঁকা থাকলে তা বিদেশিদের দেয়া হবে। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাই, তাই দেশীয় উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে কার্ড তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বিদেশি সহায়তার ওপর ভরসা রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হতো। আর এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি। এখন নিজেদের অর্থে চার লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে পারছি। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। তবে এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ আমাদের সরকারের অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় শিল্পবান্ধব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নিতৃত্বে আমরা সমূদ্রে যে সম্পদ পেয়েছি সে সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।’
নির্বাচীত সিআইপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনার সকলেই শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে নতুন উদ্যমে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। অতীতে আপনারা, বিএনপি-জামাতের জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, বোমাবাজি, লুটপাটসহ ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মাধ্যেও দেশের শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। আগামীও আপনারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এমইউএইচ/বিএ