ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কারাগার হবে জাদুঘর : বরাদ্দ ৬০৭ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৭ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কারগারকে জাদুঘর বানানো হচ্ছে। সেটি হলো পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার। ৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই জাদুঘর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্পটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, চার নেতার স্মৃতি জাদুঘর, ঢাকার মধ্যযুগের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, কারা অধিদফতরে জমির পরিকল্পিত ব্যবহার এবং পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হবে।

মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পুরাতন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পুরো টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। প্রকল্পটি কারা অধিদফতর এবং ইএনসিজ ব্রাঞ্চ, ওয়ার্কস ডাইরেক্টরেট, ঢাকা সেনানিবাস বাস্তবায়ন করবে। জুলাই ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সালে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে কারাগার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ২৩০ বছরের। কেন্দ্রীয় করাগারটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকারী দেশপ্রেমিক অসংখ্য বাঙালির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হতে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত আন্দোলনকারী অসংখ্য দেশপ্রমিক এই কারাগারে কারাবরণ করেছেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারটি ১৮০৬ সালে ২১ দশমিক ৯০ একর জমির উপর নির্মিত হয়। পুরাতন কারাগারটি জরাজীর্ণ এবং বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় ২০১৬ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারটি স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে পুরাতন কারাগার এলাকাটি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

আরও জানানো হয়, পুরান ঢাকার কারাগারটির সুদীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরা এবং কারাগারসংলগ্ন প্রায় ২১ দশমিক ৯০ একর সরকারি জমির পরিকল্পতি ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও চার নেতা স্মৃতি জাদুঘর সংরক্ষণ, ৬ তলার মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণ, চক কমপ্লেক্স নির্মাণ, স্কুল নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ফুটপাত সংস্কার করা হবে।

এমএ/বিএ

আরও পড়ুন