৭০০ কোটির ঘরে ফিরে এলো লেনদেন
টানা চার কার্যদিবস ৮০০-৯০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হওয়ার পর মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে ৭০০ কোটির ঘরে এসেছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১৪ কোটি আট লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৬৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে শেষ ছয় কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের পাশাপাশি এদিন কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে মূল্য সূচকে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রবণতা। প্রধান মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে অপর দুটি সূচক।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ১৫২টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অবদানে প্রধান মূল্য সূচক পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বাজারে ব্যাংক খতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিরই দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ছয়টির। বাকি ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরদিকে আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। কমেছে চারটির এবং একটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়ারের দাম বাড়ায় তালিকায় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের এমন দাপপের কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় তিন পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য অপর দুটি মূল্য সূচককে পতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি ব্যাংক ও আর্থিক খাত। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশিমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
তবে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর বাজার মূলধন কিছুটা বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল তিন লাখ ৯৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬১ কোটি টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, কনফিডেন্স সিমেন্ট, নাহি অ্যালুমেনিয়াম, বিএসআরএম, শাশা ডেনিম, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং আরএসআরএম স্টিল।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স এক পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১২৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দাম।
এমএএস/এএইচ/আরআইপি