ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উত্তরাঞ্চলের শিল্পায়নে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

# ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা
# উত্তর জনপদের ১১টি জেলা এর আওতায় আসবে
# শিগগিরিই একনেকে অনুমোদন

শিল্পায়নে এখনো পিছিয়ে উত্তরাঞ্চল। বাণিজ্যিক প্রসারের সঙ্গে আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। এমনকি গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনও করা যাচ্ছে না। সে সঙ্কট মোকাবেলায় এবার উত্তরাঞ্চলের ১১ জেলার জন্য গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

গ্যাস সরবরাহের জন্য বসানো হবে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপলাইন। এটি স্থাপনে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনে এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাব পাঠিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুরের ১১ জেলায় গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার। এতে এসব জেলায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, শিল্পায়ন তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ’। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। চলতি বছরে থেকে ২০২১ সালের জুলাই নাগাদ এটি বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পারভীন আকতার বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকেই সৈয়দপুর পর্যন্ত উচ্চচাপ সম্বলিত পাইপ লাইন সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসাবে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ওইসব জেলায় বিদ্যুৎ ও শিল্পায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

কমিশন সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৩০৫ দশমিক ৩৩ (৩০৫.৩৩) একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। গ্যাস পাইপ নির্মাণে দু’টি নদী ক্রসিং নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও রংপুর, সৈয়দপুর ও বগুড়ায় প্রয়োজনীয় অফিস অবকাঠামো নির্মিত হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটি (একনেক) সভায় এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

জিটিসিএল সূত্র জানায়, রংপুর ও সৈয়দপুরে দু’টি ২০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে বহু শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়লা, কেরোসিন, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল ইত্যাদি জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে রংপুরে ১০০ ও সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর, পীরগঞ্জ, সৈয়দপুর, উত্তরা ইপিজেড এবং প্রস্তাবিত নীলফামারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ফলে দ্রুত এসব অঞ্চলে শিল্পের প্রসার ঘটবে।

ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে বলেও জানা গেছে।

এমএ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন