ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কাট্টালির আইপিও অনুমোদনের ব্যাখ্যা দিল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

কাট্টালি টেক্সটাইলের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের ব্যাখ্যা দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কেন প্রতিষ্ঠানটির আইপিও দেয়া হয় ব্যাখ্যায় তা উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখা দেয়া হয়।

এর আগে কাট্টালি টেক্সটাইলের বেশকিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর ভিত্তিতে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বিক্রয় হয়েছে বলে প্রসপেক্টাসে তথ্য প্রকাশ করা হয়। আর এই বিক্রয়ের সত্যতা যাছাইয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটির কাছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এলসি ডকুমেন্টস, ভ্যাট ও টেক্সের ডকুমেন্টস চাওয়া হয়। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় বলে ডিএসইর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

একই সঙ্গে বিক্রয়জনিত পণ্যের ব্যয় হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দেখানো হয়। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এর স্বপক্ষেও প্রমাণ হিসেবে যথাযথ ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এলসি ডকুমেন্টস, ভ্যাট ও টেক্সের ডকুমেন্টস দিতে পারেনি বলে ডিএসইর প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ে আপত্তি তুলে ডিএসইর রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটি অভিমত দেয়, বিক্রয়, বিক্রয়জনিত ব্যয়, অর্থ প্রদান ও গ্রহণবাবদ কাট্টালি টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটি আইপিও অনুমোদন পাওয়ার যোগ্য নয়।

ডিএসইর এই আপত্তির ওপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় বল দাবি করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

সোমবার এ বিষয়ে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি বলেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী, যে কোনো কোম্পানির আইপিও আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে এক্সচেঞ্জের চূড়ান্ত সুপারিশ কমিশনের নিকট দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্টক একচেঞ্জগুলো ওই সময়ের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ দাখিল করে থাকে।

পরবর্তিতে বিএসইসি স্টক একচেঞ্জেগুলোর সুপারিশ উল্লিখিত আপত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের ঘাটতি থাকলে, অধিকতর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণসহ সামগ্রিক ঘাটতি পূরণকল্পে প্রমাণাদি দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী কোম্পানিকে ঘাটতিপত্র ইস্যু করে থাকে। অতঃপর আবেদনকারী কোম্পানির তথ্য ও কাগজপত্রের যথাযথ ঘাটতি পূরণ ও যাচাই সম্পন্ন হলেই কমিশন কোনো আবেদনকারী কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব তথ্য বা দলিল ঘাটতির কারণে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর বিপক্ষে গত ২৫ মার্চ সুপারিশ প্রদান করেছিল, তা পরবর্তীতে কোম্পানি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রমাণাদি ও কাগজপত্রের ভিত্তিতে পূরণ হয়। এতে কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে ২৬ জুন ওই আইপিও অনুমোদন করে। এমনকি চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর পক্ষে চূড়ান্ত সুপারিশ করে।

এমএএস/জেডএ/পিআর

আরও পড়ুন